যেকোনো দেশে যেতে চাইলে এই ব্যাংক থেকে নিতে পারেন ঋণ।

বাংলাদেশের অসংখ্য লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরী সূত্রে নিয়োজিত রয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণির লোক যারা তাদের বসতভিটা, গোয়ালের গরু সহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে বিদেশ যাওয়ার টাকা যোগাড় করে। যাদের তেমন জায়গা-জমি নেই তারা চড়া সুদে টাকা নিয়ে বিদেশ গিয়ে পরবর্তীতে সুদের টাকা গুণতে গুণতেই অনেক দিন কেটে যায়। এ ধরনের সমস্যা থেকে বিদেশ গামীদের মুক্ত করতে এগিয়ে এসেছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এক্ষেত্রে বিদেশে যাতে আর্থিকভাবে খুব বেশি স্বচ্ছল না হলেও যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়, তার জন্যই জামানত ছাড়া সরকারিভাবে ঋণ দিচ্ছে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। যেকেউ তাই যেকোনো দেশে যেতে চাইলে এই ব্যাংক থেকে নিতে পারেন ঋণ।
যেভাবে ঋণ পাওয়া যায়:
প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে বিদেশে যাওয়ার ভিসা নিশ্চিত হওয়া। ভিসা পাওয়ার পর প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ঋণের আবেদন করতে হয়। এ সময়ে প্রয়োজন হবে স্বহস্তে লিখিত অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী, আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের দুই কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাসহ পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি। এ ছাড়া আবেদনকারীর সব আয় নিযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে এই ব্যাংকে পাঠানো হবে মর্মে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামাও তৈরি করতে হয়। এখানে কোনো ধরনের জামানত প্রয়োজন হয় না। শুধু দুজন সক্ষম ব্যক্তি জামিনদার হিসেবে দেখাতে হয়। আর ঋণের টাকা জমা দেওয়া শুরু হয় বিদেশ যাওয়ার দুই মাস পর থেকে। এ ঋণ শোধ করা যাবে দুই থেকে তিন বছরেও। এই ঋণে সুদের হারও কম - শতকরা ৯ টাকা। আবেদনের পর দুই দিনের মধ্যেই ঋণের টাকা পাওয়া যায় এখানে। অনেক সময় তিন ঘণ্টার মধ্যেও ঋণ দেওয়া হয়। এটি নির্ভর করে গ্রাহকের চাহিদা এবং ভিসা সঠিক আছে কি না তা যাচাইয়ের ওপর। ঋণ দেওয়ার সময় সরকার নির্ধারিত খরচ এবং চাহিদার ওপর নির্ভর করে ৪০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।

ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
আপনি যে ভিসায় বিদেশ যাচ্ছেন, সেটি সঠিক কি না, তা ব্যাংক থেকে যাচাই করা হয়। তাই ঋণ পেতে ভিসা সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে দূতাবাস থেকে ইস্যু করা ভিসা বা লেবার কন্ট্রাক্ট, শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট, বিএমইটি থেকে পাওয়া স্মার্ট কার্ড, ম্যানপাওয়ার ক্লিয়ারেন্স কার্ড, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট, বিমানের টিকিট, পাসপোর্ট ইত্যাদি।
যোগাযোগ:
৭১-৭২, পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন, ঢাকা – ১০০০।
ই-মেইল: info@pkb.gov.bd
ওয়েবসাইট: www.pkb.gov.bd
ফোন: ০২-৮৩২২৮৭৩

No comments:

Post a Comment

Adbox