মুন্সীগঞ্জের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানসমূহের বর্ননা

Image result for মুন্সীগঞ্জেরবল্লাল সেনের দীঘিঃ বিক্রমপুরের রাজধানী রামপালের রাজা বল্লাল সেন জনগনের পানীয় কষ্ট নিবারনের জন্য এই বিশাল দীঘিটি খনন করেন। এই দীঘি খননের একটি কিংবদন্তি আছে। বল্লাল সেনের মা প্রজাসাধারণের পানীয় জলের কষ্ট নিবারনের জন্য তার সন্তান বল্লাল সেনকে একটি দীঘি খনন করার আদেশ দেন। বল্লাল সেন মাকে আশ্বাস দেন যে, মা যতটুকু হেঁটে যেতে পারবেন ততটুকু খনন করা হবে। মা পরের দিন সকালে দক্ষিণ দিক হাটতে শুরু করেন। বল্লাল সেন দেখলেন মা অনেক দূর চলে যাচ্ছেন। বল্লাল সেন অসুস্থতার সংবাদ মাকে পাঠালেন। পুত্রের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে মা ফিরে আসেন। রাজবাড়ীতে মা যতটুকু জায়গা অতিক্রম করেছিলেন ততটুকু দীর্ঘ দীঘি খনন করা হয়েছিল।
সুখবাসপুর দীঘিঃ রামপাল যখন পাল ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল তখন তারই পাশে গড়ে উঠেছিল অভিজাত এলাকা সুখবাসপুর। এলাকার মানুষের পানীয় জলেরকষ্ট নিবারনের জন্য খনন করা হয় সু-বিশাল এই সুখবাসপুর দীঘি। এই দীঘিতে প্রতি বছর শীতকালে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পাখীর কলকাকলীতে এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। এই দৃশ্য দেখার জন্য অনেক দর্শনার্থী ভীড় জমায়।
শিকদার সাহেবের মাজারঃ আজ থেকে প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে বাগদাদ থেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য হযরত হোসেন শিকদার (রাঃ) বঙ্গদেশে আগমন করেন এবং মহাকালী ইউনিয়ন এর অন্তর্গত কেওয়ার গ্রামে বসবাস করতে থাকেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রান সাধক ব্যক্তি। তিনি ওফাৎ গ্রহনের পরে এই কেওয়ার গ্রামেই তাকে সমাহিত করেন। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য মানুষ তার মাজার শরীফ জিয়ারত করতে আসেন।
বার আউলিয়ার মাজাঃ মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন মহাকালী ইউনিয়নের কেওয়ার গ্রামের অন্তর্গত তেতুল তলায় পবিত্র বার আউলিয়াদের মাজার শরীফ অবস্থিত। প্রায় ১০০০ বছর পূর্বে হিজরী ৪২১ সনে ৯৭৪ খ্রিঃ সুদূর আরব দেশ হতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর আনসার ও মুজাহিদ হিসেবে আওলিয়াগণ বাংলাদেশের এই স্থানে আগমন করেন। পূর্বে এই স্থানটি কালীদাস সাগর ছিল। পরবর্তীতে জঙ্গলাপূর্ন পতিত ভূমিতে পরিনত হলে ১২ জন আউলিয়া এই স্থানটিকে দ্বীন ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র হিসাবে ইমারত, দীঘি ও এবাদতখানা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এখানে তারা ওফাৎ গ্রহণ করেন।
শহীদ বাবা আদমের মসজিদঃ হিজরী ৮৮৮ সালে বাবা আদম নামে একজন ইসলাম ধর্ম প্রচারক মুন্সীগঞ্জে আগমন করেন। তখন রাজা বল্লাল সেনের রাজধানী ছিল রামপাল।কথিত আছে বাবা আদমের সহিত রাজা বল্লাল সেনের ১৮ দিন ব্যাপী যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে রাজা বল্লাল সেন পরাজিত হন। যুদ্ধ ক্ষেত্রে মাগরিবের নামাযের সময় বাবা আদম নামাজে মসগুল হলে রাজা বল্লাল সেন তাহাকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেন। বাবা আদম শহীদের অনুচরেরা সে স্থানেই তাকে সমাহিত করেন এবং স্থানের নাম রাখা হয় দর্গা বাড়ী। এই দর্গা বাড়ীতেই শহীদ বাবা আদমের সমাধির পশ্চিম/উত্তর কোনে বাংলার জনগন শাসসুদ্দীন ইউসুফ শাহ বাবা আদম এর খানকা শরীফের স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য সুলতান জালালউদ্দীন আবু জাফর শাহ এর পুত্র মহান মালিক কাফুরকে নির্দেশ দেন। ১৪৭৯ সালে মালিক কাফুর সু-দৃঢ় বিস্তীর্ণ পাথর ভিতের উপর দুইটি স্তম্ভের কাঠামোতে মজবুত ফিলানের উপর ভর করে ছয়গম্ভুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। বৃটিশ শাসন আমল হতে মসজিদটি পুরাকীর্তির নিদর্শন স্বরূপ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন আছে।
ইদ্রাকপুর কেল্লাঃ মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রান কেন্দ্রস্থলে ইদ্রাকপুর কেল্লা অবস্থিত। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে সেনাপতি ও বাংলার সুব

No comments:

Post a Comment

Adbox