অবিশ্বাস্য এক পথ বানিয়েছে চীনারা

পর্যটক টানতে কত কিছুই না করা হয়। আর এ ব্যাপারে চীনাদের জুড়ি নেই। এবার অবিশ্বাস্য এক পথ বানিয়েছে চীনারা। মধ্যচীনের হুপে প্রদেশের গুয়ানে অঞ্চলের একটা চা বাগানে বানানো হয়েছে এই পথ।
সাধারণত মানুষের অসুবিধা যেন না হয় সে জন্য সহজে চলাচল করা যায় এমন পথ বানানো হয়। কিন্তু দুঃসাহসী আর অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় লোকটিকে টেনে আনতে চীনারা নিয়েছে উল্টো ব্যবস্থা। অর্থাৎ ইচ্ছা করেই দুর্গম এক পায়ে হাঁটার পথ বানিয়েছে তারা। দৈর্ঘ্যে প্রায় এক হাজার মিটার। ঝুলছে চা বাগানটির মাটি থেকে নিদেনপক্ষে ১২ ফুট ওপরে। কোথাও কোথাও এই উচ্চতা ৩০ ফুট পর্যন্ত। আর ঝুলছে মানে পথটা আসলেই ঝুলন্ত।
এই পথ বানাতে কেবল দড়িই ব্যবহার করা হয়েছে। আর কিচ্ছু না। পথটা পাড়ি দিতে হয় স্রেফ দড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে। অবশ্য ধরার জন্যও দুই পাশে দড়ি আছে। কোথাও কোথাও পা ফেলে ফেলে যাওয়ার জন্য দড়ির ধাপেরও বন্দোবস্ত করা আছে। কিন্তু পথের নিচে বা দুই পাশ একদম ফকফকা। তাতে অবশ্য একটা লাভ আছে। চা বাগানের সম্পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ভয়টাও ওখানেই। একটু এদিক-সেদিক হলেই একদম সোজা নিচে, চা বাগানের বুকে গিয়ে পড়তে হবে।
আর যে কারণে পথ বানানো তা বিফল হয়নি। ইতিমধ্যেই শয়ে শয়ে পর্যটক স্রেফ ওই পথের রোমাঞ্চের টানেই চা বাগানটাতে আসতে শুরু করেছে। এই আজব পথ বানানোর আগে এ ধরনের সবচেয়ে ভয়ংকর ঝুলন্ত পথ হিসেবে ধরা হতো চীনের তিয়েনমেন পাহাড়ের চার হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে বানানো একটি রাস্তাকে। সেই রাস্তার সমস্যা হলো, এর নিচের অংশ একেবারে স্বচ্ছ কাচের। মানে নিচে তাকালেই দেখা যাবে, পায়ের নিচে সাড়ে চার হাজার ফুট গভীর গর্ত!
চীনের এই গুয়ানে অঞ্চলে মূলত তাজিয়া আর মি আদিবাসীদের বাস। ভৌগোলিকভাবে পড়েছে উলিন পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্যে। ইয়াংসো নদীবিধৌত অঞ্চলটি প্রাচীনকাল থেকেই চা উত্পাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। 
সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

No comments:

Post a Comment

Adbox