পর্যটন নগরী হিসেবে ব্যাংককের পরিচিতি সর্বত্র। শুধু এই নগরী নয়, এর আশপাশের জেলায়ও আছে দর্শনীয় সব স্থাপনা। ব্যাংকক থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সামপ্রান জেলায় আছে ওয়াট সামপ্রান বৌদ্ধ মন্দির। এই মন্দিরে বুদ্ধের বিশাল একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি আছে। এ ছাড়া আছে কিছু ছোটখাটো মূর্তি। কিন্তু এসবের কিছুই মূল আর্কষণ নয়। এখানে দেখার মতো জিনিস হলো, গোলাপি রঙের ১৭ তলা একটি দালান। যার গা পেঁচিয়ে আছে লম্বা এক ড্রাগন। দেখলে মনে হয়, এখনই নেমে এসে লোকজনকে ধরতে শুরু করবে।
ড্রাগনের ভেতরটা সুড়ঙ্গের মতো; যার ভেতর দিয়ে একদম চূড়ায় যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। কিন্তু এর সিঁড়িগুলোর অবস্থা এতই শোচনীয় যে এই পথ এখন কেবল বাদুড়রাই ব্যবহার করতে পারে। অনেক জায়গাতেই সাধারণ পর্যটক ও জনসাধারণের যাওয়ার প্রশেবাধিকার নেই। পর্যটকরা শুধু নির্দিষ্ট কিছু জায়গা পর্যন্তই যেতে পারে।
এই মন্দিরের নিচেও আছে হাতি, খরগোশ ও ডলফিনের প্রতিকৃতি। এ ছাড়া আছে একটি কচ্ছপ আকৃতির ভবন।
তবে মেরামতের অভাবে এই দর্শনীয় স্থানটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে। আশির দশকে একটি কেলেঙ্কারির ঘটনার পর এই জায়গা একরকম পরিত্যক্ত অবস্থায়ই আছে। তাই হয়তো বিশেষ দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকায় নাম নেই এই ভবনের। খুব কম জায়গায়ই এর উল্লেখ পাওয়া যায়। কোনো মানচিত্রেও এর অস্তিত্ব রাখা হয়নি। অদ্ভুত হলেও এর নির্মাণসময়কাল আজও জানা যায়নি। তবু এই ড্রাগনমূর্তি আর মন্দিরের আশপাশের শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশের জন্য পর্যটকরা এখানে আসে।
সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment