১০ টাকার একটি টিকিট, আর ১০ টাকায় একটি মশাল। মাত্র ২০ টাকা আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য নিয়ে যাবে একেবারে আদিম যুগে। অন্ধকার গুহায় পাড়ি দিতে হবে উঁচু-নিচু পাথুরে পথ, নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি ঝরনা থেকে নেমে আসা হিমশীতল পানি। মাঝে মাঝে বাদুড় ছানা উড়ে যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে। এটি বিদেশি বা কৃত্রিম কোনো দৃশ্য নয়।

টিকিটের সামান্য দাম দিয়ে বোঝানো যাবে না আলুটিলা গুহার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। অনেকটা অবজ্ঞার ছলে পর্যটকরা আসেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আলুটিলা গুহায়। অনেকটা পথ সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। কিন্তু মশাল নিয়ে গুহার ভেতরে প্রবেশের পর সবারই ধারণা পাল্টে যায়।
কিছুক্ষণের জন্য পর্যটকরা হয়ে যান আদিম গুহার বাসিন্দা। একেতো অন্ধকার, তার সাথে নিজেদের শব্দ যখন গুহায় প্রতিধ্বনি হয়ে ঘুরতে থাকে, তখন ভৌতিক পরিবেশে রূপ নেয়।

মশাল হাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহা অতিক্রম করার সময় এক ধরণের অজানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভর করে পর্যটকদের মনে। যে কারণে মাত্র এক হাজার গজের এ গুহা পাড়ি দিতে সময় লেগে যায় আধ ঘণ্টার বেশি।
কিন্তু যারা এ গুহা জয় করে ফেরে তাদের অনুভূতি অন্যরকম। অনেকটা বিশ্বজয়ের আনন্দে বিভোর হয়ে ওঠেন পর্যটকরা।

খাগড়াছড়ি শহরে প্রবেশের অন্তত ১৫ কিলোমিটার আগে আলুটিলা গুহার অবস্থান। আবার খাগড়াছড়ি শহর থেকে খোলা জীপ বা চাঁদের গাড়ি করেও এখানে আসা যায়। এখান থেকে যদি কেউ সাজেক যেতে চান তাহলে উঠে বসতে হবে জীপ বা চাঁদের গাড়িটে, দেখে আসতে পারেন সাজেকের অপরুপ পাহাড়ি সৌন্দর্য ।

সৌজন্যে : সময় টিভি
No comments:
Post a Comment